রংপুর জেলা প্রতিনিধি (গংগাচড়া): গত কয়েকদিনের অব্যাহত বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রংপুরের বাদামচাষীরা। তারা ক্ষেত থেকে আগাম বাদাম ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চাষীরা বলছেন, আগাম বাদাম ঘরে তুলার জন্য লোকসানের আশংকা করছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক দিনের ব্যবধানে অব্যাহত বৃষ্টিপাতে রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর দুই কূল প্লাবিত হয়ে বাদামসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এতে করে সবচেয়ে বেশী বিপাকে পড়েছেন বাদাম চাষীরা। তারা আগাম বাদাম তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
বাদাম চাষীরা জানান, চলতি মৌসুমে বাদামে ভালো ফলেন আশা ছিল। যদি আর এক সপ্তাহ পরে ক্ষেত থেকে বাদাম তোলা যেত তাহলে বাদাম ভালো পরিপক্ব হতো।
সেই সঙ্গে ওজন বেশি হতো। কিন্তু নদীর পানি দ্রুত বাড়ার কারণে আগে বাদাম ঘরে তুলতে হচ্ছে। একারণে তারা লোকসানের আশংকা করছেন।
গঙ্গাচড়ার লক্ষীটারি এলাকার কৃষক মহুবার আলী জানান, এবার তিনি চলতি মৌসুমে ৩২ শতাংশ জমিতে বাদাম চাষ করেন। নদীর পানি আরও বেড়ে গেলে বাদামক্ষেত তলিয়ে গিয়ে পুরো বাদাম নষ্ট হয়ে যাবে বলে তুলে ফেলছি।
কিন্তু বাদাম আরও এক সপ্তাহ ক্ষেতে থাকলে পরিপক্ব হতো। কিন্তু পানি ওঠার ভয়ে এই বাদাম আগাম তোলা হচ্ছে। একই কথা জানান, গঙ্গাচড়ার বিনবিনার চরের মোখলেছার মিয়া, কাউনিয়ার হারাগাছে চর নাজিরদহ গ্রামের মমিন মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন কৃষক।
এব্যাপারে গঙ্গাচড়ার লহ্মীটারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল হাদী বলেন, অসময়ে তিস্তা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এতে বাদামসহ বেশ কিছু ফসলের ক্ষতি সাধন হয়েছে। বন্যা হতে পারে। সেই আশঙ্কায় চরের মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, তিস্তা নদীর পানি প্রতিদিনই বাড়ছে। তাই আগামী এক সপ্তাহে তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সর্তক করা হচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।